প্রভু যীশুকে ঊর্ধ্বে তুলে নেওয়ার দিনগুলো যখন খুব কাছে এসে গিয়েছিল তখন তিনি পুণ্যনগরী যেব্রুসালেমে যাবার জন্য দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি জানতেন এই যেরুসালেমেই তাঁকে হত্যা করা হবে। তাঁর বাণীপ্রচারকালে তিনি তিনবার তাঁর শিষ্যদেরকে এই কথাটি স্মরণও করিয়ে দিয়েছিলেন। প্রভু যীশু যেরুসালেমে যাত্রার মধ্য দিয়ে এই ইঙ্গিত দিলেন যে, তিনি মৃত্যুবরণ করার জন্য যেরুসালেমে যাত্রা করছেন। কারণ যেব্রুসালেমেই সকল প্রবক্তাদের শহীদ মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। তাঁর বেলায়ও এর ব্যতিক্রম হবে না।

মহাগৌরবে যীশুর যেরুসালেমে প্রবেশ
যীশু তাঁর শিষ্যদের নিয়ে যেরুসালেমের দিকে এগিয়ে আসছেন। এই সময় নিস্তার পর্বে যোগ দিতে বহু লোক যেরুসালেমে এসেছিল। তাঁরা যখন শুনতে পেল যীশু যেরুসালেমে আসছেন তখন তাঁরা তাঁকে স্বাগতম জানাতে বেরিয়ে পড়ল। এদিকে যীশুর শিষ্যেরা গ্রাম থেকে একটি গাধার বাচ্চা এনে তাঁর পিঠের উপর নিজেদের গায়ের চাদর পেতে দিলেন। তারপর যীশুকে তাঁর উপর বসালেন।
বহু লোকও তখন তাদের নিজেদের গায়ের চাদর পথের উপর বিছিয়ে দিতে লাগল। কেউ কেউ আবার ডালপালা কেটে এনে পথের উপর বিছিয়ে দিলেন। আর যীশুর সামনে ও পিছনে জনতা চিৎকার করে বলতে লাগল, "জয় জয়! প্রভুর নামে যিনি আসছেন, ধন্য তিনি ধন্য। আমাদের পিতৃপুরুষ দাউদের যে রাজ্য এবার প্রতিষ্ঠিত হবে, ধন্য ধন্য সেই রাজ্য। আহা, উর্ধ্বলোকে উঠুক জয়ধ্বনি।" এভাবে জয়রবের সাথে সাথে যীশু যেরুসালেমের মন্দিরে প্রবেশ করেন।
যেরুসালেমে প্রবেশের তাৎপর্য
প্রভু যীশুকে অনেকে রাজা বানাতে চেয়েছিল। কিন্তু তিনি সবসময় তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। আপন নগরী তাঁকে পরিত্রাতারূপে কীভাবে গ্রহণ করে তা তিনি রাজার বেশে যেরুসালেমে প্রবেশের মধ্য দিয়ে প্রকাশ করলেন। তিনি সাধারণ একটি গাধার পিঠে চড়ে দাউদের সন্তানরূপে যেরুসালেমে প্রবেশ করেছেন। কারণ তাঁর রাজত্ব ব্যতিক্রমধর্মী। এই রাজত্ব তিনি তাঁর মৃত্যু ও পুনরুত্থানের নিস্তার রহস্যের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন করবেন।
| অনুসন্ধানমূলক কাজ: তপস্যাকালে কী কী ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে খ্রীষ্টভক্তরা ইস্টার বা পাস্কাপর্বের জন্য প্রস্তুত হয় এবং ইস্টারের আনন্দ কীভাবে একে অপরের সাথে সহভাগিতা করে তার ওপর একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করো। | 
Read more